শিরোনাম
চিলড্রেন ফাউন্ডেশন স্কুলের উদ্যোগে শুদ্ধ ইংরেজী বানান ও উচ্চারণ প্রতিযোগিতা টঙ্গীর মজিবুরের হাতে যেন আলাদিনের চেরাগ পবিত্র ওমরায় গেলেন বিএনপি নেতা এস এম জাহাঙ্গীর মানবসেবায় দিলীপ কুমার আগরওয়ালা প্রতারক এখন সাংবাদিক শিবিরকর্মী থেকে ‘বঙ্গবন্ধু গবেষক’ আওয়ামী লীগের তকমা লাগিয়ে চাঁদাবাজী!! ইনকিলাবের পক্ষে বিমানবন্দর মহাসড়কে দায়িত্বরত শিক্ষার্থীদের মাঝে খাবার বিতরণ থানার কার্যক্রম শুরু করা খুবই প্রয়োজন- লেফটেন্যান্ট কর্নেল তাহসিন তজুমদ্দিনে জমি দখলে বাঁধা দেওয়ায় বিধবা নারীসহ ৪ জনকে পিটিয়ে আহত। হাসপাতালে ভর্তি বাংলাদেশ বিশ্বকাপে সেমি বা ফাইনালে খেলার মত করে টিম তৈরী করে নাই
রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৩৭ অপরাহ্ন

৫ লাখ শিক্ষক-কর্মচারীকে ৬ মাসের মধ্যে অবসর সুবিধা প্রদানের নির্দেশ দিলেন হাইকোর্ট

রিপোটারের নাম / ৫২ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

শিক্ষকরা ‘অবসরভাতা’ পেতে বছরের পর বছর দ্বারে দ্বারে ঘুরতে পারে না: হাইকোর্ট

এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৫ লাখের বেশি শিক্ষক ও কর্মচারীকে ৬ মাসের মধ্যে অবসর সুবিধা (রিটায়ারমেন্ট বেনিফিট) প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বৃহস্পতিবার বিচারপতি নাইমা হায়দার এবং বিচারপতি কাজি জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

হাইকোর্ট বলেছে, এটা চিরন্তন সত্য যে শিক্ষকরা রিটায়ারমেন্ট বেনিফিট পেতে বছরের পর বছর ঘুরতে হয়। এই হয়রানি থেকে তারা কোনভাবেই পার পান না। একজন প্রাথমিকের শিক্ষক কত টাকা বেতন পান, সেটাও বিবেচনায় নিতে হবে। এজন্য তাদের অবসরভাতা ৬ মাসের মধ্যে দিতে হবে। এই অবসরভাতা পাওয়ার জন্য শিক্ষকরা বছরের পর বছর দ্বারে দ্বারে ঘুরতে পারে না।

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট প্রবিধানমালা, ১৯৯৯ এর প্রবিধান-৬ এবং বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা প্রবিধানমালা, ২০০৫ এর প্রবিধান-৮ অনুযায়ী শিক্ষক ও কর্মচারীদের মূল বেতনের ২ শতাংশ এবং ৪ শতাংশ কাটার বিধান ছিল। যার বিপরীতে শিক্ষকদের ট্রাস্টের তহবিল হতে শিক্ষক ও কর্মচারীদের কিছু আর্থিক সুবিধা প্রদান করা হতো।

কিন্তু ২০১৭ সালের ১৯ এপ্রিল উল্লিখিত প্রবিধানমালাগুলোর শিক্ষক ও কর্মচারীদের মূল বেতনের ২ শতাংশ এবং ৪ শতাংশ কাটার বিধানগুলো সংশোধনপূর্বক ৪ শতাংশ এবং ৬ শতাংশ করে দুইটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে শিক্ষক ও কর্মচারীদের মূল বেতনের ২ শতাংশ এবং ৪ শতাংশ কাটার পরিবর্তে ৪ শতাংশ এবং ৬ শতাংশ কাটার বিধান করা হলেও উক্ত অতিরিক্ত অর্থ কাটার বিপরীতে শিক্ষক ও কর্মচারীদের কোনো বাড়তি আর্থিক সুবিধার বিধান করা হয়নি।

পরবর্তীতে ২০১৯ সালের ১৫ এপ্রিল মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারীদের এপ্রিল/২০১৯ মাসের বেতন হতে ৬ শতাংশ এবং ৪ শতাংশ টাকা অবসর সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্টে জমা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা প্রদান করেন।

ফলে অতিরিক্ত অর্থ কাটার বিপরীতে কোনো আর্থিক সুবিধা বৃদ্ধি না করেই শিক্ষক ও কর্মচারীদের মূল বেতনের ৬ শতাংশ এবং ৪ শতাংশ টাকা কাটার আদেশের কারণে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৫ লাখ শিক্ষক ও কর্মচারীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে ক্ষুব্ধ হয়ে বিভিন্ন সময়ে অতিরিক্ত অর্থ কাটার আদেশ বাতিল করার জন্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

কিন্তু কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে তারা বিভিন্ন সময়ে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন। তাতেও কর্তৃপক্ষ নীরব থাকলে, শিক্ষক ও কর্মচারীরা ২০১৯ সালের ১৫ এপ্রিল মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের জারি করা প্রজ্ঞাপনটি চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ