প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বীরবিক্রম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বদাই কৃষকবান্ধব এবং চিন্তা করেন কিভাবে কৃষকদের সাহায্য করা যায়।
জ্বালানি খাতে স্বনির্ভরতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে উপদেষ্টা বলেন, সোলার ইরিগেশনকে সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে পারলে, কৃষকের জন্য সাশ্রয় হবে ও কৃষিক্ষেত্রে বিরাট বিপ্লব ঘটানো সম্ভব। পাশাপাশি বিদ্যুৎ ও জ্বালানির বিষয়ে স্বনির্ভরতা অর্জন করতে পারব। নিজেদের স্বাবলম্বী করতে আমরা সারা দেশে এটি ছড়িয়ে দিতে চাই। এটা প্রধানমন্ত্রীও চান।
মঙ্গলবার দিনাজপুরের খানসামা উপজেলা প্রশাসন ও দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ আয়োজিত সৌরবিদ্যুৎ চালিত সেচপাম্প পরিদর্শনে এসে উপজেলার আংগারপাড়া ইউনিয়নের চৌরঙ্গী বাজার এলাকায় তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে তিনি ওই এলাকায় স্থাপিত সৌরবিদ্যুৎ চালিত সেচপাম্প পরিদর্শন ও সুবিধাভোগীদের খোঁজখবর নেন। এ সময় সুবিধাভোগীরা সৌরবিদ্যুৎ চালিত সেচপাম্পের মাধ্যমে তাদের সুবিধার কথা তুলে ধরে বক্তব্য দেন। পাইলট প্রকল্প হিসেবে সারা দেশে ২ হাজার সৌরবিদ্যুৎ চালিত সেচপাম্প স্থাপনের কাজ চলছে বলে জানা যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে ৩২০ ওয়াটের ৪৫টি সোলার প্যানেল দিয়ে প্রায় ২৮ লাখ টাকা দিয়ে দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ বিদ্যুতায়ন বোর্ডের আওতায় নির্মাণ করে এ সেচপাম্পের স্বত্বাধিকারী আব্দুল মান্নান। এর মধ্যে সরকার প্রায় ১৮ লাখ টাকা ভর্তুকি প্রদান করে। এই সেচ পাম্প দিয়ে প্রায় ২৫ একর আবাদি জমিতে সেচ দেওয়া হয় এবং অবশিষ্ট উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়।
২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১৭ হাজার ইউনিট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে। এটা থেকে নির্ধারিত উৎপাদিত মূল্য পাবে ওই পাম্পের স্বত্বাধিকারী।
বিভাগীয় কমিশনার মো. হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তাজউদ্দিনের সঞ্চালনায় এ সময় আরও বক্তব্য দেন- বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সদস্য দেবাশীষ চক্রবর্তী, বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ও নেসকোর চেয়ারম্যান ড. সৈয়দ মাসুম আহমেদ চৌধুরী এনডিসি, নেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকিউল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দেবাশীষ চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জিন্নাহ আল মামুন, দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর সিনিয়র জিএম সাইফুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম, খানসামা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাহারুল ইসলাম, খানসামা পল্লী বিদ্যুতের এজিএম ইফতেখার আহমেদসহ বিদ্যুৎ বিভাগ, ইউপি চেয়ারম্যানরা, সুবিধাভোগী ও বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিরা।