নানা প্রশ্ন আছে বিপিএল নিয়ে। সেটা বোর্ডকর্তা থেকে খেলোয়াড়—সবার মধ্যে। এবার বাংলাদেশের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে সরাসরি এই টুর্নামেন্টের কার্যকারিতা আর মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
ইএসপিএনক্রিকইনফোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই কোচ কোনো রাখঢাক না রেখেই বলেছেন, বাংলাদেশের যথাযথ বা কার্যকর কোনো টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট নেই। টেলিভিশনের রিমোটের বাটন চাপতে চাপতে বিপিএল দেখানো চ্যানেল সামনে চলে এলে তিনি টিভিই বন্ধ করে দেন!
স্থানীয় ক্রিকেটারদের টি-টোয়েন্টির দক্ষতা বাড়াতেই শুরু করা হয়েছিল বিপিএল। তবে লঙ্কান এই কোচের মতে, বিপিএলের মাধ্যমে সেটা হচ্ছে না। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে নির্ভর করে বিদেশি ক্রিকেটারদের ওপর।
বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলে বিশ্বমানের হচ্ছে কি না, এই প্রশ্নে হাথুরুসিংহে বলেছেন, ‘আমাদের যথাযথ কোনো টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট নেই। এটা শুনতে অদ্ভুত লাগবে। তবে বিপিএল যখন দেখি, মাঝেমধ্যে টিভি বন্ধ করে দিই। কিছু খেলোয়াড় তো কোনো মানেরই নয়। এই চলমান পদ্ধতি নিয়ে আমার অনেক প্রশ্ন আছে।’
বিপিএলে বড় কোনো বিদেশি ক্রিকেটার পুরো মৌসুম খেলছেন না। এই যেমন বাবর আজম, তিনি রংপুরের হয়ে এবারের বিপিএল খেলেছেন। তবে পিএসএল খেলতে ৭ ফেব্রুয়ারিতেই বিপিএল ছেড়েছেন। অন্য ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলে আজ বিপিএলে আসছেন ডেভিড মিলার। এমন অনেকেই বিপিএলে আছেন আসা-যাওয়ার মধ্যে। হাথুরুসিংহের কাছে এটা একটা সার্কাসের মতো।
এই প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘আইসিসির এখানে হস্তক্ষেপ করা উচিত। অবশ্যই কিছু নিয়ম থাকতে হবে। একজন খেলোয়াড় একটা টুর্নামেন্ট খেলছে, পরে আরেকটা খেলছে। এটা সার্কাস। খেলোয়াড়েরা তাদের সুযোগের কথা বলবে, কিন্তু এটা ঠিক নয়। মানুষ আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে, আমি আগ্রহ হারিয়েছি।’
এবারের বিপিএলে বরিশালের হয়ে মাত্র দুটি ম্যাচে খেলার সুযোগ পেয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার রকিবুল হাসান। তাইজুল ইসলামের মতো অভিজ্ঞ স্পিনারও খেলতে পেরেছেন পাঁচটি ম্যাচ।
হয়তো এসব কারণেই নতুন আরেকটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট চাইছেন বাংলাদেশ কোচ, ‘আমার পরামর্শ হচ্ছে, বিপিএলের আগে আরেকটি টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হোক।
এখানে ফ্র্যাঞ্চাইজির যা ভালো লাগে সেটাই করে, সেরা কিছু খেলোয়াড় খেলছে না। কীভাবে আপনি প্রত্যাশা করেন, বাংলাদেশ অন্য দলের চেয়ে ভালো করবে। আমি একটা কঠিন যুদ্ধ করছি।’