আওয়ামী লীগ বুধবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের প্রার্থী চূড়ান্ত করবে। এ লক্ষ্যে দুপুর ১২টায় গণভবনে ডাকা হয়েছে দলটির সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা। এতে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগে সকাল ১০টায় গণভবনে দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হবে।
জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন ৫০টি। একটি রাজনৈতিক দল ছয়টি আসনের বিপরীতে একটি করে সংরক্ষিত নারী আসন পায়। এ হিসাবে নিজেদের এবং স্বতন্ত্রদের সমর্থন পাওয়ায় আওয়ামী লীগ ৪৮ আসনে দলের মনোনয়ন দেবে। সংরক্ষিত নারী আসনের জন্য ১৫৪৯টি মনোনয়নপত্র বিক্রি করেছে আওয়ামী লীগ। এ বাবদ দলটির আয় হয়েছে সাত কোটি ৭৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। সংখ্যাগত হিসাব অনুযায়ী প্রতিটি আসনের জন্য গড়ে ৩২ জনের বেশি নারী ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়ন পেতে ফরম কিনেছেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারা দেশের ৩০০টি সংসদীয় আসনের নির্বাচনে তিন হাজার ৩৬২টি দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি করেছিল আওয়ামী লীগ। প্রতিটি আসনে গড়ে প্রার্থী ছিল ১১ জন। সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি হতে প্রতিটি আসনের বিপরীতে এর প্রায় তিনগুণ মনোনয়নপ্রত্যাশী আওয়ামী লীগের ফরম কিনেছেন।
জানা গেছে, মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে আওয়ামী লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ ও ছাত্রলীগের সাবেক নেত্রীসহ অন্যান্য সংগঠনের পদধারীরা রয়েছেন। এই তালিকায় আছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা-মন্ত্রী এবং সাবেক ও বর্তমান সংসদ-সদস্যদের স্ত্রীরাও। এ ছাড়া সাংস্কৃতি অঙ্গনের তারকা অভিনেত্রী, শহিদ পরিবারের সদস্য, এনজিওসহ বিভিন্ন সামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত নারীরাও। আছেন আইনজীবী, ব্যবসায়ী, হিজড়াসহ বিভিন্ন পেশার নারীরাও। আওয়ামী লীগ নেতারা বলেছেন- দল ও সহযোগী সংগঠনের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নারী নেত্রীদের পাশাপাশি বিভিন্ন পেশার স্বনামধন্য নারীদেরও মনোনয়ন দেওয়া হবে।
জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক যুগান্তরকে বলেন, আমাদের দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবকিছু দেখেই দলীয় মনোনয়ন দেবেন। আগামী দিনের জন্য নারী নেতৃত্ব দেওয়ার মতো যোগ্যতাসম্পন্ন মানুষদের তিনি বেছে নেবেন। সেক্ষেত্রে শুধু দলই নয়, দলের ত্যাগী ও যোগ্যদের অবশ্যই প্রাধান্য দেবেন। কিন্তু পাশাপাশি বিভিন্ন পেশাজীবী এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের যোগ্য নারীদেরও তিনি রাখবেন।
এদিকে দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এবার দলীয় মনোনয়নে দলের কেন্দ্রীয় নেত্রী, সহযোগী সংগঠনের নেত্রী এবং বিভিন্ন জেলায় পোড় খাওয়া নেত্রীদের বিবেচনায় রাখা হবে। এর বাইরেও জোট শরিকদের দু-একটি আসন দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে। তবে পুরোনোদের সিংহভাগ এবার মনোনয়ন পাবেন না বলেই ইঙ্গিত দিয়েছেন দলটির একাধিক নীতিনির্ধারক। মনোনয়নপ্রত্যাশীরা বলছেন, দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যোগ্য মনে করে মনোনয়ন দিলে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সাধারণ মানুষের উন্নয়নে কাজ করতে চান তারা।