পাকিস্তানের বর্তমান প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারির মেয়ে আসিফা ভুট্টো জারদারি দেশটির পার্লামেন্টের এনএ-২০৭ আসনের উপনির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন। এর মাধ্যমে জারদারি পরিবার এখন পাকিস্তানের রাজনীতিতে একক পরিবার হিসেবে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক আইনপ্রণেতা থাকার রেকর্ড গড়ে ফেলল। আগে এই রেকর্ড ছিল সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের পরিবারের দখলে।
জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি আসিফা শহীদ বেনজিরাবাদ (প্রাক্তন নবাবশাহ-১) আসনে জাতীয় পরিষদের সদস্য (এমএনএ) নির্বাচিত হয়েছেন। পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) তাকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আইনপ্রণেতা হিসেবে বিজয়ী ঘোষণা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।
এখানে উল্লেখ্য যে, ক্ষমতাসীন জোট যৌথভাবে মনোনীত করায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন জারদারি। এতে তার আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। যেখানে অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে বিজয়ী হন তার মেয়ে আসিফা।
পাকিস্তানি গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, এর মাধ্যমে জারদারি পরিবার শরিফ পরিবারের রেকর্ড ভেঙেছে। কারণ জারদারি পরিবারে এখন দেশের সংসদীয় ইতিহাসে সর্বাধিক সংখ্যক সংসদ সদস্য রয়েছেন।
নওয়াজ শরিফ, শাহবাজ শরিফ ও মরিয়ম নওয়াজ
নওয়াজ শরিফ, শাহবাজ শরিফ ও মরিয়ম নওয়াজ
উভয় রাজনৈতিক পরিবারই বেশিরভাগ সময় ধরে পাকিস্তান শাসন করার জন্য পরিচিত। সেই সঙ্গে তারা দেশটিতে বংশীয় রাজনীতিকে শক্তিশালী করেছে। নির্বাচনের আগে টিকিট বিতরণের সময় পরিবারের সদস্যদের অগ্রাধিকার দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে দুই পরিবারের বিরুদ্ধে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জারদারি এখন নিজেই দেশের প্রেসিডেন্ট। এ ছাড়া তার মেয়ে আসিফা, ছেলে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি এবং শ্যালক মুনাওয়ার আলী তালপুর এমএনএ এবং তার উভয় বোন ফরিয়াল তালপুর এবং আজরা পেচুহো সিন্ধুর প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য।
অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের বড় ভাই মিয়া নওয়াজ শরিফ এবং তার ছেলে হামজা শাহবাজ শরিফ এমএনএ নির্বাচিত হয়েছেন, সেই সঙ্গে তার ভাইঝি মরিয়ম নওয়াজ শরিফ পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী।