মমতা শঙ্করের বলা ‘আজকালকার মেয়েরা রাস্তার মেয়েদের মতো শাড়ি পরে’ নিয়ে ট্রলের বন্যা চারদিকে। নানাজন নানাভাবে বিঁধেছেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রীকে।একজন নারী হয়ে নারীদের নিচু করেছেন তিনি, এমন কথাও বলা হচ্ছে। এবার মমতা শঙ্করকে নিয়ে মুখ খুললেন শ্রীলেখা।
শ্রীলেখা বৃহস্পতিবার তার ফেসবুক পোস্টে লিখলেন— ‘মমতা শঙ্করের নামে অভিযোগ করার আগে বা তাকে ট্রল করার আগে, বোঝার চেষ্টা করুন উনি ঠিক কী বলতে চেয়েছেন। হ্যাঁ এটা ঠিকই, এই কথায় কিছু আত্মদর্শনের প্রয়োজন রয়েছে। তবে আমি নিশ্চিত যে তিনি লাইসেন্সপ্রাপ্ত যৌনকর্মীদের আঘাত করতে চাননি। (লাইসেন্সবিহীন … আমি নিশ্চিত নই)’।
এক বাংলা গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আজকাল যেমন হয়েছে যে শাড়ি পরব কিন্তু আমার আঁচলটা ঠিকমতো থাকবে না। আগে আমরা যেরকম বলতাম রাস্তার মেয়ে, ক্ষমা করবেন বলছি বলে। যারা ল্যাম্পপোস্টের তলায় দাঁড়িয়ে থাকে বলতাম, তারা ওরকমভাবে দাঁড়াত। কিংবা যদি গ্রামে কাজ করতে করতে শাড়ি সরে যেত। সেটা কোনো দোষের ছিল না। এরা মানুষকে আকর্ষিত করার জন্য করত, তাদেরও আমি শ্রদ্ধা করছি। তারা তাদের পেশার জন্য এমনটা করছে। আজকাল যারা বিনা কারণে ওইরকমভাবে শাড়ি পরেন, তার পর লোক কিছু বললে রেগে যান, মেয়েদের নিচু করা হচ্ছে! মেয়েরাই তো মেয়েদের নিচু করছে। পুরুষ সম্মান করবে কি করে যদি আমার মধ্যে মর্যাদা না থাকে।’
হয়তো বর্ষীয়ান অভিনেত্রী, নৃত্যশিল্পী তার বক্তব্যের মধ্যে ‘শরীর দেখানোর প্রবণতা’ ঠিক নয় এমনটাই বোঝাতে চেয়েছিলেন। শালীনতার কথা মাথায় রেখেই ছিল তার এই মন্তব্য। তবে বেশিরভাগ লোকের কাছেই তার বলা এই কথাগুলো ভুল বার্তা পৌঁছে দিয়েছে।
কারণ তিনি পরবর্তী সময়ে বলেছিলেন, প্রত্যেক মানুষ এই সমাজে জাজমেন্টাল। তাই তিনি মনে করেন, মেয়েদের এমন ইমপ্রেশন দেওয়ারই দরকার নেই যে তারা সহজলভ্য। সেই কারণে পোশাক নির্বাচনের ক্ষেত্রে মেয়েদের উচিত সচেতন হওয়া। তবে কিছু সংক্ষিপ্ত ক্লিপিংস ছড়িয়ে পড়েছে, যা নিয়ে ওঠেপড়ে লেগেছে নেটিজেনরা।