শিরোনাম
পবিত্র ওমরায় গেলেন বিএনপি নেতা এস এম জাহাঙ্গীর মানবসেবায় দিলীপ কুমার আগরওয়ালা প্রতারক এখন সাংবাদিক শিবিরকর্মী থেকে ‘বঙ্গবন্ধু গবেষক’ আওয়ামী লীগের তকমা লাগিয়ে চাঁদাবাজী!! ইনকিলাবের পক্ষে বিমানবন্দর মহাসড়কে দায়িত্বরত শিক্ষার্থীদের মাঝে খাবার বিতরণ থানার কার্যক্রম শুরু করা খুবই প্রয়োজন- লেফটেন্যান্ট কর্নেল তাহসিন তজুমদ্দিনে জমি দখলে বাঁধা দেওয়ায় বিধবা নারীসহ ৪ জনকে পিটিয়ে আহত। হাসপাতালে ভর্তি বাংলাদেশ বিশ্বকাপে সেমি বা ফাইনালে খেলার মত করে টিম তৈরী করে নাই প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ঈদ উপহার বিতরণ ঢাকা-১৮ আসনকে স্মার্ট আসন হিসেবে গড়তে কাজ করে যাচ্ছি: খসরু চৌধুরী এমপি
বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:২৩ অপরাহ্ন

রামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের রোগীর লাশ পাওয়া গেল পুকুরে

রিপোটারের নাম / ৪৮ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের অগ্নিদগ্ধ এক রোগীর ভাসমান লাশ পাওয়া গেছে পুকুরে। সোমবার সকালে হাসপাতাল থেকে কিছুটা দূরে হাজী মুহম্মদ মুহসীন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের পুকুরে লাশটি ভাসতে দেখে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার করেন।

নিজের শরীরে নিজেই আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল নাবিদ ইসলাম অনুভব (১৫) নামের এই কিশোর। তারপর ১৭ দিন ধরে হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন ছিল।

নাবিদ দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল। তার বাবার নাম খাদেমুল ইসলাম। নাবিদের মায়ের সঙ্গে তার বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে। নাবিদ রাজশাহী নগরীর তেরোখাদিয়া এলাকায় মায়ের সঙ্গেই থাকত। সে এর আগেও একাধিকবার আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছিল। একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে তার চিকিৎসাও চলছিল। পরিবারের সদস্যরা পুলিশকে এমন তথ্য দিয়েছেন।

পুলিশ জানায়, গত ২ ফেব্রুয়ারি নাবিদ বাড়িতে নিজেই লাইটার দিয়ে জ্যাকেটে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে সে অগ্নিদগ্ধ হয়। এরপর তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। ১৭ দিন ধরে সে এখানেই চিকিৎসাধীন ছিল। হাসপাতালে তার সঙ্গে থাকতেন মা। সোমবার সকাল সোয়া ৭টার দিকে তিনি শৌচাগারে যান। এরপর ফিরে এসে ছেলেকে শয্যায় পাননি। তখন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে তিনি বিষয়টি অবহিত করলে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ দেখা হয়।

এতে দেখা যায়, হাসপাতাল থেকে একাই বের হয়ে যাচ্ছে নাবিদ। এর কিছুক্ষণ পরই হাসপাতাল থেকে কিছুটা দূরে হাজী মুহম্মদ মুহসীন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের পুকুরে শরীরে ব্যান্ডেজ লাগানো একজন দগ্ধ রোগীর মরদেহ ভেসে থাকার খবর আসে হাসপাতালে।

বিষয়টি নিয়ে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এএফএম শামীম আহম্মদ কোনো কথা বলতে চাননি।

হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের প্রধান ডা. আফরোজা নাজনীন এখন ভারতে অবস্থান করছেন। যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ভারতে যাওয়ার আগে তিনি এই রোগী দেখেছিলেন। একটা অস্ত্রোপচারও করেছিলেন। সেই অস্ত্রোপচার সফল হয়েছিল।

তিনি বলেন, ‘আগুনে নাবিদের গলা, কাঁধ, বুক, মুখমণ্ডল, চোখের পাতা থেকে কান পর্যন্ত এবং শ্বাসনালী পুড়ে গিয়েছিল। শরীরের ১৬ শতাংশ পুড়ে গভীর ক্ষত হয়েছিল। শ্বাসনালী পুড়ে যাওয়ার কারণে তার সেরে ওঠার সম্ভাবনা ছিল কম। তবে আমি আশাবাদী ছিলাম। বেঁচে থাকলে আরও কয়েকটা অস্ত্রোপচার লাগত। হাসপাতাল থেকে সব সাপোর্ট দেওয়া হচ্ছিল।

নগরীর রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল হক বলেন, পরিবারের ভাষ্যমতে ছেলেটার আত্মহত্যার প্রবণতা ছিল। মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে তার চিকিৎসাও চলছিল। হাসপাতাল থেকে সে একাই বের হয়েছে, এটা সিসি ক্যামেরায় দেখা গেছে। তবে সে পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে নাকি অন্যকিছু ঘটেছে তা পুলিশ নিশ্চিত নয়। এটা তদন্তের পর বলা যাবে।

ওসি জানান, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা লাশ উদ্ধার করেছেন। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হবে। তদন্ত শেষে এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ