নজেকশন পুশ করার পর ছটফট করতে থাকে রোগী। অক্সিজেনের জন্য দেড়ঘণ্টা স্বজনরা আহাজারি করেন। কিন্তু দায়িত্বরত নার্স অক্সিজেন সরবরাহ না করায় মারা যান মেরুদণ্ডে ব্যথা নিয়ে ভর্তি হওয়া শ্যামল দাস। মাদারীপুর জেলা সদর হাসপাতালে এ কাণ্ডে ক্ষুব্ধ স্বজন ও জনপ্রতিনিধিরা। অভিযুক্তের বিচার দাবি করেছেন তারা।
স্বজনদের অভিযোগ, ওই হাসপাতালে রোববার ভর্তি করা হয় মাদারীপুর শহরের পুরান বাজারের পান বিক্রেতা ও শহরের আমিরাবাদের রামজীবন দাসের ছেলে শ্যামল দাসকে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রিয়াদ মাহমুদ চিকিৎসাপত্র দিয়ে ভবনের ছয়তলায় ভর্তি দেন রোগীকে। ভর্তির পর চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র দেখে রোগীকে ব্যথার ইনজেনশন পুশ করেন নার্স সুজাতা। পরে শুরু হয় শ্বাসকষ্ট ও দাপাদাপি। অক্সিজেনের অভাবে সারা শরীরে ব্যথার যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকেন শ্যামল। এ সময় নার্সকে অক্সিজেনের কথা বললে, ব্যস্ততা দেখিয়ে অন্য কাজে মনোযোগ দেন তিনি। এরপর রাত ৮টার দিকে মারা যান ওই ব্যবসায়ী।
রাত ৮টার পর ডিউটি না থাকায় বাসায় চলে যান নার্স সুজাতা। এ জন্য তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। যদিও চিকিৎসক রিয়াদের দাবি, সঠিকভাবেই নিচ তলায় জরুরি বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি করা হয় শ্যামল দাসকে। কিন্তু পরে ভবনের ছয়তলায় কি হয়েছে, সেটা সম্পর্কে তিনি অবগত নন।
মাদারীপুরের সিভিল সার্জন ও জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মুনীর আহম্মেদ খান সাংবাদিকদের বলেন, কর্তব্যরত চিকিৎসক মোবাইল ফোনে বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন। নার্সের দোষ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএইচএম সালাউদ্দিন বলেন, মারা যাওয়া ব্যক্তির পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।