মাগুরা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে জনবল নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে উত্তীর্ণ হওয়ার পর মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে গিয়ে চাকরি প্রার্থী চারজন আটক হয়েছেন। রোববার সন্ধ্যায় তাদেরকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
অভিযুক্ত চার পরীক্ষার্থী হলেন- মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের এসকে নুরুজ্জামানের ছেলে এসকে মনিরুজ্জামান, একই উপজেলার মণ্ডলগাতি গ্রামের আলাউদ্দিন মণ্ডলের ছেলে শরিফুল ইসলাম, নাগড়া গ্রামের জামাল মুন্সির ছেলে সজিব হোসাইন এবং সদর উপজেলার আমুড়িয়া গ্রামের ওয়াহাব আলির ছেলে মিরাজ হোসেন।
মাগুরা সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২৩ ফেব্রুয়ারি মাগুরা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানসমূহে রাজস্ব খাতের আওতায় ১১-১৭ গ্রেডভুক্ত মোট ৬টি পদের বিপরীতে ৭১ জন নিয়োগের জন্যে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ওই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে রোববার মাগুরা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে আহবান জানানো হয়। সেখানে মৌখিক পরীক্ষা চলাকালে অভিযুক্ত চার প্রার্থীর লিখিত পরীক্ষার খাতা সমন্বয় করতে গেলে সামঞ্জস্যতা না পাওয়ায় তাদেরকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
অভিযুক্তরা স্বাস্থ্য সহকারী পদের জন্যে আবেদন করলেও শুক্রবারে অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষায় তারা প্রক্সি পরীক্ষার্থী নিয়োগ করে। একেক জনের বিপরীতে ২ লাখ টাকা নিয়ে প্রক্সি পরীক্ষার্থীরা লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। লিখিত পরীক্ষা শেষে শনিবার রাতে প্রকাশিত ফলাফলে উত্তীর্ণ প্রার্থী হিসেবে অভিযুক্ত প্রার্থীদের নাম প্রকাশ হলে তারা রোববারের মৌখিক পরীক্ষায় সশরীরে অংশ নিতে গেলে আটক হয়।
তবে অভিযুক্ত চাকরিপ্রার্থীদের পক্ষে কারা লিখিত পরীক্ষায় কারা অংশ নিয়েছে সেটি সম্পর্কে সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়নি। একাধিকবার মাগুরা সিভিল সার্জনের মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করা হলেও বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে মাগুরা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) পিয়ার উদ্দিন বলেন, সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের নিয়োগ পরীক্ষায় প্রক্সি পরীক্ষার্থী নিয়োগের সঙ্গে জড়িত থাকায় ৪ জনকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।