ভুট্টা চাষের আড়ালে মানিকগঞ্জের শিবালয়ে নিষিদ্ধ পপি চাষাবাদের দায়ে নূরুল ইসলাম (৪৫) নামের এক কৃষককে জেলা ডিবি পুলিশ আটক করেছে।
রোববার দুপুরে মাঠ থেকে নিষিদ্ধ আফিম গাছে তুলে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
আটককৃত কৃষক উপজেলার পুরান পয়লা গ্রামের জাবেদ খানের ছেলে। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
স্থানীয় ও ডিবি পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নূরুল ইসলাম পয়লা গ্রামের রাস্তার পশ্চিম পাশে ফসলের মাঠে ভুট্টা খেতের মাঝখানে অনেকটাই লোক চক্ষুরোগ আড়ালে নিষিদ্ধ আফিম গাছ লাগায়। প্রায় ছয় শতাংশ জায়গায় আবাদ করা এ আফিম গাছে ইতিমধ্যে ফুল ও ফল ধরতে শুরু করেছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার রাতে কৃষক নূরুল ইসলামকে আটক করে ডিবি পুলিশ।
এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর আছে পাশের শত শত উৎসুক জনতা আফিম গাছ দেখতে আসেন। গাছের ফুলগুলো অনেকটাই গোলাপ ফুলের মত আর গোলাকার বড় বড় ফল ধরেছে। আনুমানিক ৩০ হাজারের মতো গাছ ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অভিযানে অংশ নেওয়া ডিবি পুলিশের এসআই রিপন নাগ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পপি খেতে মালিক নূরুল ইসলামকে আটক করি। ইতিমধ্যে আমরা মাঠ থেকে নিষিদ্ধ পপি গাছ তুলে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে এসেছি। আটককৃত বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য আইনে পৃথক দুটি মামলা হবে। আর গাছগুলো পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পাঠানো হবে।
শিবালয় উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার আনিসুর রহমান জানান, গাছগুলো দেখে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছি এগুলো পপি (আফিম) গাছ। এগুলো চাষাবাদ ও বহন করা দেশের আইনে অপরাধ।