চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের তিন উপ-গ্রুপের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। এসব ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। রোববার ক্যাম্পাস পরিস্থিতি মোটামুটি শান্ত ছিল। এদিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে চবি প্রশাসন বৈঠক করেছে। সন্ধ্যায় চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীন আখতার সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
দুর্নীতি-অনিয়ম রোধসহ ২৬ দফা দাবিতে চবি শিক্ষক সমিতি ২৬ নভেম্বর থেকে আন্দোলন করে আসছে। দাবি না মানায় ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শিক্ষক সমিতি উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পদত্যাগের এক দফা আন্দোলন শুরু করেন। এরইমধ্যে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের তিনটি উপগ্রুপ সংঘর্ষে জড়ায়। ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন এক পক্ষ আরেক পক্ষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। তিন দিনের হামলা-পালটা হামলায় ৪০ জন আহত হয়েছে। এ সব ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
শহরে অবস্থিত চবির চারুকলা ক্যাম্পাসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য ড. শিরীন আখতার লিখিত বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক পরিস্থিতির জন্য চবি প্রশাসন কোনোভাবেই দায়ী নয়। শিক্ষক সমিতির একাংশ আন্দোলনের নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুণ্ন করছে। শিক্ষার্থী বা শিক্ষকদের স্বার্থ নয়; বরং আন্দোলনের নামে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির মধ্যদিয়ে ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করা তাদের মূল উদ্দেশ্য। তাদের আন্দোলনের সুযোগ নিচ্ছে ছাত্রলীগের বিবদমান গ্রুপগুলো। আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি না করে শিক্ষক সমিতিকে আলোচনার টেবিলে বসার আহ্বান জানান তিনি। যৌক্তিক দাবি বাস্তবায়নে প্রশাসন বদ্ধপরিকর বলেও তিনি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপ-উপাচার্য (অ্যাকাডেমিক) অধ্যাপক বেনু কুমার দে, প্রক্টর অধ্যাপক ড. নূরুল আজিম সিকদার, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কেএম নুর আহমদ, আলাওল হলের প্রভোস্ট ও শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য অধ্যাপক ড. ফরিদুল আলম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. সজীব ঘোষ, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট ড. উদিতি দাশ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।