বাংলাদেশের বাংলাবান্ধা, বুড়িমাড়ি স্থলবন্দর ও মোংলা নৌবন্দর ব্যবহার করতে চায় নেপাল। বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারি বলেছেন, নেপাল বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা বন্দর ব্যবহারে আগ্রহী। বিশেষ করে মোংলা বন্দর ব্যবহারে বাংলাবান্ধা দিয়ে যাতায়াতে ও পণ্য পরিবহণে বেশি গুরুত্ব দেয় তার দেশ।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এ আগ্রহ প্রকাশ করেন রাষ্ট্রদূত।
সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী।
খালিদ মাহমুদ বলেন, নেপালের সঙ্গে বাংলাদেশের অনেক এনগেইজমেন্ট আছে। নেপালের সঙ্গে সবদিক থেকে সম্পর্ক ভালো। নেপালের অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী বাংলাদেশে লেখাপড়া করে। নেপাল স্থলপথে ভারতের কিছু অংশ ব্যবহার করে বাংলাদেশের বাংলাবান্ধা ও বুড়িমারী স্থলবন্দর ব্যবহারের মাধ্যমে যাতায়াত করে থাকে।
প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ভারতের ২৩ কিলোমিটার ভূমি সরাসরি ব্যবহার করে কিভাবে নেপাল বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এই রুটটি সরাসরি ব্যবহারে বাংলাদেশ, ভারত ও নেপাল একসঙ্গে কাজ করবে।
খালিদ মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরের সময়ে এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন। এ রুটটি চালু হলে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে। নেপালের পক্ষ থেকে বন্দর ব্যবহার করে বাণিজ্যিক কার্যক্রম সম্প্রসারণে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ে কথা হচ্ছে। এই বিষয়টিকে আমরা অনেক বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি।
প্রতিমন্ত্রী জানান, নেপালের রাষ্ট্রদূত বাংলাবান্ধা ও বুড়িমারী স্থলবন্দর পরিদর্শন করেছেন। তিনি বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন দেখে খুবই খুশি। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশেরই উন্নয়ন নয়, অধিকন্তু তিনি জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিশ্ব ফোরামে যে নেতৃত্ব দিচ্ছেন- রাষ্ট্রদূত তারও প্রশংসা করেছেন।
খালিদ মাহমুদ জানান, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পরের দিন রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রতি তার যে শ্রদ্ধা, তা বাংলাদেশ-নেপাল সম্পর্ককে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে।