প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর নারীদের ক্ষমতায়নে ভূমিকা রাখায় বস্তি ও ঋষি সম্প্রদায়ের ৬ জন প্রান্তিক নারী প্রতিনিধিকে সম্মাননা জানানো হয়েছে। নিজ এলাকায় নারী ও শিশুসহ সবার সুরক্ষায় স্মার্ট এবং টেকসই নগরায়ন নিশ্চিতে বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে অবদান রাখায় বেসরকারি সংস্থা ‘দুস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র’ (ডিএসকে) এই সম্মাননা দেয়।
আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০২৪ উপলক্ষে ‘নারীর সমঅধিকার, সমসুযোগ, এগিয়ে নিতে হোক বিনিয়োগ’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আলোচনাসভা হয়। সেখানে ওই ছয়জন নারীকে ক্রেস্ট এবং সার্টিফিকেট দিয়ে সম্মাননা জানানো হয়।
সম্মাননাপ্রাপ্তরা হলেন- রাজধানীর হাজারীবাগের বালুর মাঠ বস্তির বাসিন্দা হেনা আক্তার রূপা, বউ বাজার বস্তির রুমা আক্তার, মোল্লার বস্তির হালিমা খাতুন, মহাখালীর করাইল বস্তির মোসা. তানিয়া আক্তার, মানিক নগরের ঋষি সম্প্রদায়ের কংকা দাস ও বিথী রানী দাস।
ডিএসকে কনসোর্টিয়াম (ডিএসকে, বারসিক, কাপ ও ইনসাইটস) ‘ঢাকা সিটিজেন্স অ্যাডভোকেসি কোলাবোরেশন এগেইনস্ট পোলিউটিং এনভাইরনমেন্ট (ঢাকা কলিং) আলোচনা সভার আয়োজন করে। এতে অর্থায়ন করেছে ইউএসএইড, কারিগরি সহযোগিতা দিয়েছে কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনাল। সভার আগে ডিএসকে কনসোর্টিয়ামের উদ্যোগে ‘ঐক্যবদ্ধের অনুপ্রেরণায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর নারীর কণ্ঠন্বরের প্রতিধ্বনি’ শীর্ষক একটি র্যালি অনুষ্ঠিত হয়।
ডিএসকে’র পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মাহমুদুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনালের চিফ অব পার্টি কেটি ক্রো। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. জোবাইদা নাসরিন, প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান এবং ইউওয়াই সিস্টেমস লি. চেয়ারপারসন ফারহানা এ. রহমান ও কাপের নির্বাহী পরিচালক খন্দকার রেবেকা সান-ইয়াত প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে ঢাকা কলিং প্রকল্প কিভাবে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, নারী ও শিশুসহ সবার সুরক্ষায় স্মার্ট এবং টেকসই নগরায়ন নিশ্চিতে বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রান্তিক নারীদেরকে ক্ষমতায়িত করছে- তা তুলে ধরেন ডিএসকে কনসোর্টিয়ামের কো-অর্ডিনেটর মো. রকিবুল ইসলাম। নারী দিবসের তাৎপর্য নিয়ে ধারণাপত্র পাঠ করেন বারসিকের প্রকল্প ব্যবস্থাপক ফেরদৌস আহমেদ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন নিগার রহমান।