এ সময় আদালতে সহকারী সরকারি কৌশলী (এপিপি) ও বিবাদী পক্ষের আইনজীবীসহ জামিনে মুক্ত দুই মামলার দুই আসামি হাজির ছিলেন।
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি অ্যাডভোকেট সানোয়ার হোসেন বলেন, ডাকাতির অভিযোগ ২০১০ সালে দায়েরকৃত দুটি মামলায় আটক দুই আসামির নিকট থেকে তৎকালীন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হারুন-অর-রশিদ ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণ করেন। বর্তমানে তিনি ফ্লোরিডা ইউনিভার্সিটিতে পিএইচডি অধ্যয়নরত। তবে মামলার কার্যক্রম পরিচালনায় তার সাক্ষ্যগ্রহণ জরুরি হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় আইন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও মার্কিন দূতাবাসের সহায়তায় তার কাছে সাক্ষ্যগ্রহণের শুনানি পৌঁছিয়ে ভার্চুয়াল আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সে অনুযায়ী এ সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
ভার্চুয়াল আদালতে বিদেশে অবস্থানরত কোনো বিচারকের সাক্ষ্যগ্রহণ এবারই প্রথম বলে ওই আইনজীবী জানান। এর আগে ভার্চুয়াল আদালতে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কারাগারে থাকা আসামির রিমান্ড শুনানি এবং হাজতি আসামিকে আদালত কক্ষে হাজির না করে কারাগারে রেখেই জামিন শুনানির ব্যবস্থা করা হয়।
প্রসঙ্গত, করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে দেশে প্রথমবারের মতো ২০২০ সালের ২৯ মার্চ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত আদালতগুলোতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। এরপর বিচার বিভাগকে সচল রাখার প্রয়োজনীয়তায় দেশে ভার্চুয়াল মাধ্যমে আদালতের কার্যক্রম শুরু। ২০২০ সালের ১১ মে থেকে সীমিত পরিসরে বিচারিক কার্যক্রম শুরুর মাধ্যমে দেশে ভার্চুয়াল আদালত চালু হয়েছিল।