নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্যাংকের টাকা ঋনের নামে লুটপাট করছে। ঋনের টাকা ফেরত দিচ্ছে না। যে যা লুট করছে তার তালিকা বাংলাদেশ ব্যাংক প্রকাশ করে নাই। টাকা পাচারকারীদের কোন তালিকা ও প্রকাশ করেন নাই। অনেকগুলি ব্যাংকে নগদ টাকা নাই। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রতিনিয়ত টাকা ধার করে দৈনন্দিন কাজ পরিচালনা করছে। টাকা পাচারের কারণে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং অন্যান্য ব্যাংকের অবস্থা খুবই করুন। এর সাথে সরকার দলীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিরাই জড়িত। টাকা পাচারকারী এবং লুটপাটকারীদের তথ্য ফাঁস হবে বিধায়, বাংলাদেশ ব্যাংক অলিখিতভাবে সাংবাদিকদের প্রবেশধিকারে বিধি নিষেধ আরোপ করেছে। টাকা পাচারকারী এবং ব্যাংক লুটপাটকারীরাই শতকরা ৯০% ঘরবাড়ি বিদেশে করেছে।
পত্রিকায় দেখলাম শুধু ঢাকায় দৈনিক ৫০০ জন মানুষ কুকুর, বিড়াল এর কামড়ে আক্রান্ত হচ্ছে, ভ্যাকসিন নাই। ডলার সংকটের কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় ওষুধপত্র পাওয়া যাচ্ছে না। প্রতিনিয়তই জনগণ সড়ক দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে। দুঃখের বিষয় সিটি কর্পোরেশনের ময়লার গাড়ি চাপায় মানুষ মারা যাচ্ছে। শেয়ার মার্কেটে পুনরায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। শেয়ার মার্কেট দরবেশরা ইচ্ছা অনুযায়ী লুটপাট করছে।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের স্বীকার করেছেন তিন বিদেশী শক্তি আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে কাজ করেছে। এখন দেখা যাচ্ছে, এই সরকার বিদেশিদের উপর নির্ভরশীল। বিশেষ করে ২০০৮ সাল থেকে ভারত সরকার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কাজ করছে। দেশ স্বাধীন হলেও বর্তমান সরকার স্বাধীন না। বর্তমান সরকার ভারত দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।স্বাধীন দেশ, বাংলাদেশের জনগণের চাওয়া অনুযায়ী স্বাধীনভাবে দেশ চালাতে হবে।
আই এ টি এ এর বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ। আই এ টি এ ভুক্ত বিমান পরিবহন সংস্থা গুলির নিকট পাওনা দাড়িয়েছে ৩২ কোটি ৩০ লক্ষ ডলার। এই পাওনা পরিশোধ না করলে, বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক বিমান গুলো নামবে কিনা সন্দেহ আছে। গ্যাসের অভাবে অনেক কারখানা বন্ধ। ফলে শ্রমিকেরা অনেকে বেতন পাচ্ছে না। ব্যাংকের দেনা পরিশোধ হচ্ছে না। যন্ত্রপাতি নষ্ট হচ্ছে, মালিকরা স্বর্বশান্ত হচ্ছে।
বর্তমান সরকারের আমলে চট্টগ্রাম, চন্দনাইশ,পটিয়া সীতাকুন্ড, মিরসরাই, ফটিকছড়িসহ পাহাড় কেটে ইটের ভাটা বানাচ্ছে এবং বসতি স্থাপন করছে। এতে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। নিত্য পণ্যের দ্রব্যমূল্য উর্ধ্বগতি। ডলার সংকটের কারণে কাঁচামালের আমদানি করা সম্ভব হচ্ছে না ফলে দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে। বিদ্যুতের ঘনঘন লোডশেডিং এর ফলে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। গ্যাসের দাম সরকার কয়েক দফা বৃদ্ধি করায় উৎপাদন খরচ বেড়েছে ফলে পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে।
পত্রিকায় দেখলাম গোপালগঞ্জের একজন নাম সর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের নামে ৫৯০ কোটি টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন করেছে। এ টাকা গুলো সবই দুর্নীতির টাকা। ইদানিং পত্রপত্রিকায় সরকারি দলের অনেক রাজনীতিবিদ এবং সরকারি কর্মকর্তাদের ব্যাপক দুর্নীতির ব্যাপারে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। সরকার এবং দুদক নিরব। জনগণ অসহায়। বর্তমানে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে, সামাজিকভাবে এবং রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া। সহসায় উদ্ধার হওয়া সম্ভবনা নাই। সুতরাং যুব সমাজকে এবং দেশের সর্বস্তরের জনগণকে আবেদন করব দেশকে এই অসহনীয় অবস্থা থেকে মুক্ত করার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করুন।অন্যথায় দেশের অবস্থা আরো ভয়াবহ হতে পারে। যার দায় দায়িত্ব সবাইকে বহন করতে হবে। দেশীয় উদ্যোক্তাদের অনুরোধ করবো দেশীয় গুণগত, মানসম্মত পণ্য উৎপাদনে এগিয়ে আসুন। এতে করে বিদেশীদের ওপর নির্ভরশীলতা কমে যাবে। একে অপরের দিকে তাকিয়ে বসে থাকলে চলবে না।