সেই ১০৯ বছর আগে ব্রিটিশ আমলে চুন-সুড়কির গাঁথুনি দিয়ে নির্মিত হয় ঈশ্বরদী-ঢাকা রেলপথের পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার চলনবিলের মধ্যে ৬ স্প্যানবিশিষ্ট ৫ পিয়ারের ৩৪৮ ফুট লম্বা রেলওয়ে গার্ডার ব্রিজ।
ইতোমধ্যে ব্রিজের গাঁথুনির চুন-সুড়কির গুণাগুণ নষ্ট হয়ে গোটা ব্রিজে ফাটল ধরেছে। সেই ব্রিজটি এখন সংস্কার করছে রেল কর্তৃপক্ষ। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। আগামী বর্ষা মৌসুম আসার আগেই সংস্কারকাজ শেষ করার কথা রয়েছে।
রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় প্রকৌশলী বীরবল মণ্ডল জানান, ব্রিটিশ আমলে ২৬নং গার্ডার বিজ নির্মাণ করা হয়েছিল। ব্রিজের পিয়ারের গাঁথুনির চুন-সুড়কির গুণাগুণ নষ্ট হয়ে গিয়ে বিভিন্ন স্থাপনায় ফাটল ধরেছিল। প্রতিদিন এ ব্রিজের ওপর দিয়ে ২১ জোড়া আন্তঃনগর, এক জোড়া মেইল ট্রেন এবং ৪ জোড়া মালবাহী ট্রেন যাতায়াত করে।
অবশেষে রোববার এ ব্রিজের সংস্কারকাজ শুরু হয়েছে। রেলওয়ের পাকশী বিভাগের আওতায় দিলপাশার রেলস্টেশনের কাছে পুরনো বেডব্লকগুলো ভেঙে সিসিক্রিবের ওপর লোহার গার্ডার বসিয়ে (লোহার অ্যাঙ্গেলের ওপর কাঠের স্লিপার) শতাধিক রেলশ্রমিক বিকল্প অস্থায়ী ব্যবস্থাপনায় রেললাইন তৈরি করে সংস্কারকাজ শুরু করেছেন। ব্রিজটি সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত অস্থায়ী লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল করছে।
ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান আরটিসিএল গার্ডার ব্রিজ সংস্কারকাজ করছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। আগামী বর্ষা মৌসুম আসার আগেই সংস্কারকাজ শেষ করার কথা রয়েছে।
ট্রেনচালকরা বর্তমানে ১০ কিলোমিটার গতিতে গার্ডার ব্রিজ অতিক্রম করছেন। ব্রিজের দুই পাশে নিরাপত্তা জোরদার করতে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান শ্রমিক নিয়োগ দিয়েছে।
সংস্কারকাজ উদ্বোধনের সময় উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (সেতু) লিয়াকত শরীফ খান, পাকশী বিভাগীয় পরিবহণ কর্মকর্তা (ডিটিও) আনোয়ার হোসেন, সেতু প্রকৌশলী আব্দুর রহিম, বিভাগীয় প্রকৌশলী-২ বীরবল মণ্ডলসহ রেলওয়ে প্রকৌশলীরা উপস্থিত ছিলেন।