ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা শবনম বুবলীর একমাত্র সন্তান শেহজাদ খান বীরের জন্মদিন আজ। ছেলের জন্মদিন উপলক্ষ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন বুবলী। প্রায় ৫ মিনিটের সেই ভিডিওতে ছেলেকে নিয়ে আবেগঘন বার্তা দিতে দেখা গেছে নায়িকাকে।
এদিকে বুবলীর সেই ভিডিও প্রকাশের পরেই নিজের ফেসবুকে খোঁচা দিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন পরীমনি। তবে পুরো স্ট্যাটাসে কোথাও বুবলীর নাম মেনশন না করলেও পরোক্ষভাবেই তাকেই নিশানায় রেখেছেন তিনি। তবে বুবলীও চুপ থাকেননি। পরীমনির সেই খোঁচার কড়া জবাব দিয়েছেন জনপ্রিয় এই চিত্রনায়িকা।
পরীমনির দাবি, তাকে ‘কপি’ করেই নির্মিত হয়েছে বুবলীর প্রকাশিত সেই ভিডিওটি। আর চিত্রনায়িকার এমনটা মনে করার কারণটাও স্পষ্ট। মাসখানেক আগে পরীমনির ছেলে পুণ্যর জন্মদিন উপলক্ষে তাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি আবেগঘন ভিডিওবার্তা প্রকাশ করেছিলেন পরী। তাই স্বাভাবিকভাবেই চিত্রনায়িকা মনে করছেন— তার সেই ভিডিওর ধারণাই কপি করেছেন বুবলী।
বুবলীকে খোঁচা দিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাসে পরীমনি লেখেন, ‘আপা গো আপা! পুরাটাই কপি মারলেন! কথা, মিউজিক লাইন, ভয়েস টোন ডেলিভারি থেকে সব! কিন্তু আবেগ তো কপি করা যায় না আপা!’
ছেলেকে নিয়ে বুধবার দিবাগত রাত দেড়টায় ফেসবুকে ভিডিওটি প্রকাশ করেন বুবলী। ঠিক তার দেড় ঘণ্টা পর রাত তিনটায় স্ট্যাটাসটি দেন পরীমনি। ফলে তিনি কাকে ইঙ্গিত করে পোস্টটি দিয়েছেন সেটা বুঝতে খুব একটা সমস্যা হয়নি ভক্তদেরও।
পরীমনির সেই স্ট্যাটাসের পরে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে পাল্টা জবাব দিয়েছেন স্ট্যাটাস দিয়েছেন বুবলীও। তিনি লিখেছেন, পাশের দেশে টালিউড বা বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে শেষ কয়েক বছর ধরে মিল থাকছে অধিকাংশ বিয়েতে। যেখানে বিয়ের ড্রেসের কালার, অ্যারেঞ্জমেন্ট, বর-কনের আসা থেকে শুরু করে অনেক প্রেজেন্টেশনেই মিল থাকছে। পৃথিবীতে অনেক সিনেমা আছে যার গল্প অন্য গল্পের সঙ্গে অনেক মিলে যায়। কাছাকাছি মিলে, একদম মিলে, এরকম বহু বহু জিনিস হচ্ছে দুনিয়াতে।
বুবলী আরও লেখেন, তেমনি মা সন্তান নিয়ে পৃথিবীতে অনেক ইমোশনাল ভিডিও এবং অডিও আছে যার ভাষা একই। কিন্তু এসবে পৃথিবীর কারো কোনো অসুবিধা নাই। শুধু এই সিন্ডিকেট চামোচগুলোর অবস্থা দেখলে মনে হয় যে, এরাই দু-একজন শুধু মা হইসে, আর কেউ মা হয়নি।
বুবলী লেখেন, তাদের শুধু লেবার পেইন হয়েছিল আর কারো হয়নি, তাদের পারিবারিক যুদ্ধ, সন্তানের স্মৃতি, জীবন সংগ্রাম, কষ্ট, ঘর গোছানো ,খাওয়ানো সব কিছু স্বাভাবিক কিন্তু আর কারও এরকম হয় না। তারাই খাবার খাওয়ার পর প্রেসার আসলে ফ্রেশরুমে দৌড় দেবে কিন্তু আর কেউ যাইতে পারবে না। তারাই লাল, নীল, হলুদ রঙ পরবে। আর কেউ পরতে পারবে না। তারাই হাসবে, কাঁদবে, ঘুমাবে, আর কেউ পারবে না। যদি আপনি পারেন তাহলে আপনার আবেগ নাই, বিবেকও নাই, শুধু কপি আছে।
এরপরই আবার আরেকটি পোস্ট দেন পরীমনি। তিনি লেখেন, হিহিহি একটি শিক্ষিত বকরির গরুর রচনাহ! কী লিখতে কী লিখতেছে বেচারি। চিপায় আটকাইলে মানুষ আবোল-তাবোল লজিক দিতে থাকে বুঝলাম। কিন্তু তাই বলে এই রকম আউলা বাউলা কী কী সব লিখল ভাই!
পরে কখনো নিজে পড়ে নিজেই বুঝবে না যে কী লিখছিল। আমি শিউর।