নিজস্ব প্রতিবেদক:আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকেই উত্তরা আব্দুল্লাহপুর এলাকায় অটোর চাঁদা উত্তোলন বন্ধ রয়েছে। এতে করে ক্ষিপ্ত হয়ে চাঁদাবাজ ফারুকের নেতৃত্বে সাবেক এমপি হাবিব হাসানের নির্দেশে ৫০/৬০ জন চাঁদাবাজ ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক এস এম মাবুবুল আলম সমর্থকদের উপর হামলা চালায়। এ সময় আওয়ামী লীগ অফিসেও হামলা চালানো হয়।
রবিবার রাত ৮টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক এস এম মাবুবুল আলমের ভাগিনা ও যুবলীগ নেতা আরিফুল ইসলাম উজ্জ্বল, চয়ন ও জাহাঙ্গীরসহ বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হন। বর্তমানে তারা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতাল, উত্তরা আধুনিক হাসপাতাল ও কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
হামলার ঘটনায় ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক এসএম মাহাবুব আলম বাদী হয়ে দক্ষিণখান থানায় ২৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২০/২৫ জনকে আসামি করে ২৯ জানুয়ারি মামলা করেন, মামলা নাম্বার ৪৮৬ (৫)/২।
মামলার এজহার থেকে জানা যায়, দক্ষিণখান থানাধীন মোতালেব মার্কেট রেল গইট সংলগ্ন আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অটোর চাঁদা দিতে নিষেধ কারীদের উপর সাবেক এমপি হাবিব হাসানের নির্দেশে চাঁদাবাজ ফারুকের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। এ সময় আওয়ামী লীগ অফিসেও হামলা চালানো হয়। হামলার পর চাঁদাবাজরা হাবিব হাসানের নামে স্লোগান দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
মামলার আসমিরা হলো ১। ফারুক হোসেন (৩৫), ২। মোহাম্মদ আলী(২৩), উভয় পিতা- মৃত আদর অলী, উভয় সাং-গোয়ালটেক, সালমা মার্কেট সংলগ্ন, খানা-দক্ষিণখান, ঢাকা, ৩। হাসান ওরফে জামাই হাসান (৩৮), ৪। ইঞ্জিঃ মোতামার (৩৫), ৫। দিপু(৩৫), পিতা- মৃত আব্দুল মালেক, ৬। আনতান ৩৬), পিতা-দুলাল মিয়া, ৭। সাইফুল ৮। বিশু(২১), ৯। সোহেল (৩০), পিতা- মৃত জায়েদ আলী, ১০। জাবেদ আলী(৪০), ১১। পারভেজ (৩৭), ১২। পায়েল ৩৩), ১৩ সোহেল (৩৫), ১৪। রফিক ওরফে চাইনিজ রফিক (৩০)। ১৫। সুমন ১৬। ইফতি(২৫), ১৭। আশিক (২৮) ১৮। রোমান ১৯। মিহাদ(১৯), ২০। ফরহাদ (৩০), ২১। শাহ আলম (৩৫), ২২। হাসান ওরফে সুন্দর হাসান (২০), ২৩। সুমন ওরফে চাপাতি সুমন ২৯), ২৪। সজীবসহ অজ্ঞাতনামা ২০/২৫ জন।
এ ব্যাপারে দক্ষিণখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আমরা আসামিদের ধরতে তৎপর রয়েছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।