গাজীপুরের পূবাইলে কক্সবাজার থেকে আসা পিকনিকের বাসে অভিযান চালিয়ে এক লক্ষ ২৫ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে গাজীপুর মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৪ মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে গাজীপুর মহানগর গোয়েন্দা কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি,উত্তর) মুহাম্মদ কামাল হোসেন।
গ্রেফতার কৃতরা হচ্ছে, গাজীপুরের কাপাসিয়া থানার চক বড়হর এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে মো: শামীম হোসেন (৩৬), গাজীপুর সিটি করপোরেশনের টঙ্গী পূর্ব থানার পূর্ব গাজীপুরার সিকদারপাড়া এলাকার মৃত ইমান আলীর ছেলে মো: এমারত (৩২), ময়মনসিংহের ত্রিশাল থানার ধানীখোলা এলাকার মৃত আইয়ুব আলী খানের ছেলে মো: ইব্রাহিম খলিল (৫৭) এবং একই জেলার ফুলবাড়ীয়া থানার দেবগ্রাম এলাকার মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মো: রমজান আলী (৫৪)।
জিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার ডিবি (উত্তর) মুহাম্মদ কামাল হোসেন জানান, সোমবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি কক্সবাজার থেকে বাসযোগে ইয়াবার একটি বড় চালান গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীর উদ্দেশ্যে নিয়ে আসা হচ্ছে। এমন খবরের ভিত্তিতে রাতেই মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের (উত্তর) একটি আভিযানিক দল কক্সবাজার থেকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের টঙ্গী আসা একটি পিকনিকের বাস পূবাইল থানাধীন কামারগাও এলাকায় একটি বাস আটক করা হয়। পরে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশিকালে গ্রেফতারকৃত আসামিরা কৌশলে পালানোর চেষ্টা করলে তাদেরকে আটক করে।
তিনি প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, পরে আটককৃতদের জিগ্যাসাবাদ করলে তারা ইয়াবা পাচারের কথা স্বীকার করে। পরে তাদের দেখানো মতে বাসের ভিতরে বিভিন্ন স্থানে সাদা স্কচটেপ দ্বারা মোড়ানো ১৩টি প্যাকেটে মোট ৬২৫টি নীল রংয়ের জিপারে ১ লাখ ২৫ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত ইয়াবার আনুমানিক মুল্য প্রায় ৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।
তিনি আরো বলেন, আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, বাসটির হেলপার ও চালকের সহায়তায় পলাতক আসামি আমিরুল ইসলামসহ ২/৩ জন বাসটির বিভিন্ন জায়গায় ইয়াবা ট্যালেট লুকিয়ে রাখে। তারা আরও জানায়, প্রতিনিয়ত এই বাসটি কক্সবাজার থেকে টঙ্গী ইয়াবা ট্যাবলেট নিয়ে এসে গাজীপুরের বিভিন্ন জায়গায় মাদক বিক্রি করে থাকে। বাসটি মূলত বিভিন্ন সময়ে রিজার্ভ যাত্রী নিয়ে টঙ্গী থেকে কক্সবাজার রুটে চলাচল করলেও তাদের মূল লক্ষ্য ছিল ইয়াবা পরিবহন করা। আসামীগণ একটি সংঘবদ্ধ চক্রের পেশাদার মাদক (ইয়াবা) পরিবহনকারী ও মাদক (ইয়াবা) ব্যবসায়ী। গ্রেফতারকৃতরা দীর্ঘদিন ধরে এই রুট ব্যবহার করে মাদক পরিবহন ও গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ মাদকদ্রব্য ইয়াবা বিক্রয় করে আসছে। তাদের বিরুদ্ধে জিএমপির পূবাইল থানায় নিয়মিত মামলা করা হয়েছে। মঙ্গলবার তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।