রাজধানীর মালিবাগের জেএস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল সেন্টারে খৎনা করাতে গিয়ে আহনাফ তাহমিন আয়মান নামে এক শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি অভিযুক্ত জেএস ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
বুধবার রাজধানীর মালিবাগ চৌধুরীপাড়াস্ত জেএস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেক আপ সেন্টারটির সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বুধবার সকালে খবরটি জেনেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. মঈনুল আহসানকে তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে পাঠান এবং দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেন। পরিচালক (হাসপাতাল) দ্রুততম সময়ে মালিবাগ জেএস ডায়াগনস্টিক সেন্টারে উপস্থিত হয়ে হাসপাতালটির যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেন এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনকে কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন এ ঘটনার প্রেক্ষিতে এক বিশেষ বিবৃতিতে বলেন, ‘এই ঘটনায় আমি অত্যন্ত মর্মাহত। কিছুদিন আগেও এমন একটি ঘটনা আমরা লক্ষ্য করেছি। সে ঘটনায় আমরা উপযুক্ত ব্যবস্থাও নিয়েছি। তবে সেই ঘটনার পরও যারা সতর্ক হতে পারেনি, এরকম আর কারো কোনোরকম দায়িত্বে অবহেলা বা গাফিলতি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। দোষী প্রমাণিত হলে, স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির বিরুদ্ধে শুধু কঠোর ব্যবস্থা নেওয়াই হবে না, ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলাকারী দোষীদেরও কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে, যাতে পরবর্তীতে আর কোনো প্রতিষ্ঠান এরকম গুরুদায়িত্বে অবহেলা করতে সাহস না পায়। চিকিৎসায় অবহেলা পাওয়া গেলে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, আহনাফের বাবার মামলা দায়েরের পর জেএস ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে একজন পরিচালক ও একজন এনেস্থেসিওলজিস্টকে পুলিশ ইতোমধ্যেই গ্রেফতার করেছে। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রণালয়ে সংশ্লিষ্ট সব ব্যক্তিদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করবেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
অন্যদিকে রাজধানীর ল্যাব এইড হাসপাতালে ঘটে যাওয়া অন্য আরেকটি ঘটনার প্রেক্ষিতেও একটি বিবৃতি দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। বিবৃতিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, রাজধানীর ল্যাব এইড হাসপাতালে এনডস্কপি করাতে একজনের মৃত্যুর ঘটনায় গতকাল (২০ ফেব্রুয়ারি) সেখানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পরিদর্শন করা হয়েছে যার রিপোর্ট বৃহস্পতিবার হাতে আসবে। রিপোর্ট দেখে সে বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।