নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ ড্র করে। কিন্তু এই বছরের প্রথম টেস্ট সিরিজে শ্রীলংকার বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ। সেই সঙ্গে বের হয়ে এসেছে টাইগারদের টেস্ট ক্রিকেটের পুরনো কঙ্কাল। সমাধানের পথ কী! জাতীয় দলের নতুন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু ব্যর্থতার কারণ খুঁজে চান সমাধানের পথ।
গণমাধ্যমের সঙ্গে লিপু বলেন, ‘আমার মনে হয় আমাদের একটি সমন্বিত মিটিং প্রয়োজন। ক্রিকেটারদের থেকে শুনতে, আবার দলগুলোর কোচিংয়ে যারা দায়িত্বে থাকেন, তারা কী কী ঘাটতি লক্ষ্য করেন, সেটি জানতে হবে। ঘরোয়া ক্রিকেটের কোচদের কাছ থেকে জানতে হবে একই বিষয়গুলো। উন্নতি করতে হলে সবাইকে হাত বাড়াতে হবে।
তিনি বলেন, গ্রাউন্ডস, ক্রিকেট অপারেশন্স, টুর্নামেন্টে ও ডেভেলপমেন্ট কমিটির সবাইকে হাত বাড়াতে হবে। তা হলে যে কোনো একটি টেস্ট সিরিজের আগে সবার সহযোগিতায় প্রস্তুতি ভালো নেওয়া যাবে।’
টেস্ট দেশে হোক বা বিদেশে খেলার আগে প্রস্তুতিটা বড় বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন গাজী আশরাফ লিপু। বিসিবির চারটি বিভাগ একসঙ্গে কাজ করলে প্রস্তুতির সুযোগটা ভালো হয়।
তিনি বলেন, ‘যে কোনো জায়গাতেই টেস্ট সিরিজ হোক যাওয়ার আগে প্রস্তুতি নেওয়াটা আসল। কিছু ম্যাচ খেলার সুযোগ থাকলে অন্তত অভ্যস্ততা বাড়বে। যেভাবে আমরা একই ভাবে আউট হচ্ছি বাইরের বলে খোঁচা দিয়ে তাতে ইনিংস লম্বা হচ্ছে না। একটা বিষয় হলো— আইপিএলে যেভাবে ২০ ওভারে দানবীয় রান হচ্ছে তা মানে লম্বা ফরম্যাটের ক্রিকেটে তো আমাদের আরও চ্যালেঞ্জ বাড়ছে। এই জন্যই বলছি— আমাদের একটি সমন্বিত আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। এতে ঘরোয়া ক্যালেন্ডারটা আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা করে নতুন করে সাজাতে পারব।
তিনি আরও বলেন, শুধু তাই নয়, টেস্টে উন্নতির জন্য বাইরে থেকে মেধা ধার করে আনা যেতে পারে। অন্যদিকে দিন দিন বাড়ছে টি-টোয়েন্টির উন্মাদনা। কমে আসছে ওয়ানডে ও টেস্ট ক্রিকেট। তিন ফরম্যাটে খেলা ক্রিকেটারদের জন্য বাড়ছে ওয়ার্ক লোড।
গাজী আশরাফ বলেন, ‘একটা সময় বছরে হয়তো একটা বা দুটা ওয়ানডে সিরিজ হতো। টেস্ট সিরিজও তাই। এখন কিন্তু অনেক বেশি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হয়। ওয়ানডে কিছুটা কমে এলে টেস্ট ম্যাচের সংখ্যা যে খুব কম তাও না। দেখেন শরিফুল ইসলামকে আমরা দ্বিতীয় টেস্টে খেলাতে পারলাম না। যারা দলের সেরা ক্রিকেটার তাদের দিকেও কিন্তু আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। আরেকটা বড় বিষয় হলো— টেস্ট ক্রিকেটারদের মন-মানসিকতা থেকে খেলার সময় সরিয়ে রাখতে হবে সাদা বলের ভাবনা। টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডের চিন্তা সেই সময়টাতে আসা যাবে না।’
টেস্ট ক্রিকেটে খারাপ করলেই দোষটা যায় ঘরোয়া ক্রিকেটের দিকে। শুধু তাই নয়, বিসিবির চারটি বিভাগ এক হয়ে কাজ করতে পারে না বলে উন্নতিও হয় না ঠিক ভাবে। এ নিয়ে লিপু বলেন, ‘এটাও সত্যি খারাপ হওয়ার পেছনের কারণ হিসেবে ক্রিকেটার ও আমাদের দিকে আঙুল তোলে।