চট্টগ্রামে ধর্ষণের শিকার হয়ে অন্তঃসত্ত্বা হওয়া এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই ছাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করার পর তার বাবা চান্দগাঁও থানায় মামলা করেন। মামলায় জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে হামিদ মোস্তফা জিসানকে আসামি করা হয়।
এ ঘটনায় জিসানকে গ্রেফতার করে একদিনের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জিসান কক্সবাজারের মহেশখালীর পশ্চিমপাড়ার বাবুল মিয়ার ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সোমবার চান্দগাঁও থানার ওসি (তদন্ত) মো. ছবেদ আলী যুগান্তরকে বলেন, ভিকটিম চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার ‘শিক্ষাশালা’ নামে একটি কোচিং সেন্টারে পড়ালেখা করত। তিনি এবারের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। ১৫ ফেব্রুয়ারি ভিকটিম অসুস্থ হওয়ায় মেডিকেলে নিয়ে জানতে পারেন তিনি অন্তঃসত্ত্বা। ১৭ ফেব্রুয়ারি মামলা দায়ের হলে সেদিনই ধর্ষককে গ্রেফতার করা হয়। একদিনের রিমান্ড শেষে আদালতের মাধ্যমে আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্র জানায়, এসএসসি পরীক্ষার কারণে ওই শিক্ষার্থী কয়েক মাস আগে শিক্ষাশালা কোচিং সেন্টারে ভর্তি হয়। সেখানে পড়ালেখার একপর্যায়ে কোচিং সেন্টারের শিক্ষক জিসান তাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর কোচিং সেন্টারের ভেতরে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করা হয়। এ সময় শিক্ষার্থীর আপত্তিকর অবস্থায় ছবিও ধারণ করা হয়।
পরবর্তীতে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে তার সঙ্গে কয়েক দফায় শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে জিসান। একপর্যায়ে ওই শিক্ষার্থী অসুস্থবোধ করলে তাকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা অন্তঃসত্ত্বা বলে জানান। হাসপাতালের আইসিইউতে ১১ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়।