ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি) নিয়ে কেন্দ্রের নতুন প্রস্তাবনার পরই আপাতত ‘দিল্লি চলো’ অভিযান স্থগিত রাখা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। তবে সরকারের এ প্রস্তাবনা নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করার জন্য দুদিন সময় চেয়েছেন কৃষকরা।
ভারতের পাঞ্জাব-হরিয়ানা সীমান্তে ট্রাক্টর নিয়ে বসে থাকা হাজার হাজার আন্দোলনকারী কৃষকদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে রোববার চতুর্থ দফা আলোচনায় বসেন দেশের কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল, কৃষি প্রতিমন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই।
সূত্র জানায়, আগামী পাঁচ বছরের জন্য কৃষকদের থেকে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে শস্য কিনবে কেন্দ্র, এমনটাই জানিয়েছেন মন্ত্রীরা। তবে এ প্রস্তাব আদৌ মেনে নেওয়া হবে কিনা, সেই নিয়ে আলোচনার জন্য দুদিন সময় চেয়েছেন কৃষক নেতারা।
আগামী পাঁচ বছরের জন্য ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে কেনা হবে তাদের ফসল। কোনো সীমা থাকবে না ক্রয়ের পরিমাণের। তার জন্য একটি পোর্টাল তৈরি করা হবে।
যদিও কৃষকদের ঋণে ছাড়সহ অন্যান্য দাবিগুলো নিয়ে এখনো আলোচনা হয়নি। কেন্দ্রের এ সিদ্ধান্তে পাঞ্জাবের কৃষকরা বিশেষভাবে উপকৃত হবেন বলেই জানানো হয়েছে। ভূগর্ভস্থ জলের পরিমাণ বাড়ানো ও চাষের জমি যাতে উর্বর থাকে, তার উদ্যোগও নেওয়া হবে। পরবর্তী বৈঠকে তা নিয়ে আলোচনা হবে।
কৃষকদের তরফে প্রতিনিধি সারওয়াল সিং পান্ধের জানিয়েছেন, ১৯ ও ২০ ফেব্রুয়ারি কৃষকদের ফোরামে কেন্দ্রের এমএসপি নিয়ে প্রস্তাবনার আলোচনা করা হবে। সবার সম্মতিতেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
চার বছর পর আবার আন্দোলনে নেমেছেন কৃষকেরা। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ‘দিল্লি চলোর’ ডাক দিয়েছেন তারা।