হাটহাজারী পৌরসভাসহ গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিং বেড়ে যাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। এতে করে উপজেলাধীর লাখ লাখ বাসিন্দা ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ, শিশু ও বৃদ্ধরা বিপাকে পড়েছেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, দৈনিক ৭-৮ ঘণ্টাও বিদ্যুৎ মিলছে না। তবে পিডিবি ও পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের দাবি, চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ সরবরাহ কম থাকায় এলাকাভেদে লোডশেডিং করতে হচ্ছে।
এদিকে তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ে ঈদ বাজারে বিভিন্ন শপিংমল ও প্রতিষ্ঠানে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা। বিদ্যুতের ভেলকিবাজিতে আসন্ন ঈদ উপলক্ষ্যে বাজার করতে আসা ক্রেতা ও বিক্রেতাদের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। এই রমজানে দিনে-রাতে কমপক্ষে ১০ থেকে ১২ বার লোডশেডিং করা হচ্ছে। এমনকি সেহেরি, ইফতার ও তারাবির সময় বিদ্যুৎ না থাকায় ক্ষোভ জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
উপজেলার সরকার হাট বাজারের গণি শপিং সেন্টারের ব্যবসায়ী মো. জামাল উদ্দিন বলেন, এই পবিত্র রমজানে দিনে-রাতে সমানতালে বিদ্যুৎ যায়-আসে। কখনো এক ঘণ্টা আবার কখনো টানা দুই থেকে চার ঘণ্টা লোডশেডিং চলে। এ অবস্থায় ভোগান্তির শেষ নেই। উপজেলা সদরে একটু বিদ্যুৎ গেলেই সেখানকার লোকজন বিদ্যুৎ কার্যালয়ে গিয়ে তাদের ক্ষোভ ও প্রতিক্রিয়া জানান। কিন্তু এখানকার লোকজন তা করতে পারে না বলে এখানে লোডশেডিং বেশি দিচ্ছে বলে মনে হয়।
চাহিদার তুলনায় কম মেগাওয়াট পাওয়ায় লোডশেডিং হচ্ছে এমনটা দাবি করে চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩ হাটহাজারী জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মাহবুব আলম বলেন, পৌর সদরের কয়েকটি ওয়ার্ডসহ ১০টি ইউনিয়নের প্রায় ৭৪ হাজার গ্রাহককে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য প্রতিদিন প্রায় ১৮-২০ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে অর্ধেকেরও কম (৬-৭ মেগাওয়াট) পরিমাণ বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। এরপরও জাতীয় চাহিদা সমন্বয় করতে গিয়ে মাঝেমধ্যেই ১-২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কম দেওয়া হয়। ফলে বাধ্য হয়ে লোডশেডিং করতে হচ্ছে। তবে কবে নাগাদ এই সমস্যার সমাধান হবে তা নিশ্চিত বলা যাচ্ছে না।