ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে বর্তমান ও সাবেক মেম্বারের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। বুধবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের বুল্লা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৩৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
আহতদের মধ্যে ৪৭ জন জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তারা হলেন- কাউসার মেম্বার (৪২), মুখলেস (২৯), মোহন (২৫), জহুরুল হক (৩২), আব্দুল্লাহ (২৫), ছোট্ট মিয়া (৫৫), মিলন মিয়া (২৩), রিপন মিয়া (২৯), জাকির মিয়া (২৮), রিপন মিয়া (২২), আব্বাস আলি (৪৫), তানভীর (২২), আশু মিয়া (৪২), শফিকুল (৩২), রফিক (৩৮), জসিম (৩২), রিপন (২৮), আবু লাল (৪০), কাউসার (১৪), আবন মিয়া (৩০), জয়নাল (৪০), লুৎফুর (৩০), সাদেকুল (৪০), নাজমুল (২০), ওহিদ (৪০), তারেক (২০), রামিত (৩০), জসিম (২০), সিরাজ (৪৫), কুশনাহার (৪০), রাসেল (১৪), নাসির মিয়া (৪৫), ফায়েজ মিয়া (৩০), বিল্লাল মিয়া (৩৫), আব্দুল্লাহ (২৭), আবু তাহের (৯০), মোশাররফ (৩০), সাকিব (১৮), মিলন (২৮), মনা মিয়া (১৮), নাঈম (১৫), হাকিম (৩০), শামীম (৩০), আবুল হোসেন (৩৫), মোজাম্মেল (২৫), মামুন (৩৫) ও আজগর (৪০)।
ঘটনার পরপরই উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল থেকে দুইপক্ষের ৩৩ জনকে আটক করেন বিজয়নগর থানা পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় ইউপি সদস্য কাউসার মিয়ার সঙ্গে সাবেক মেম্বার জয়নাল মিয়ার গ্রুপের নানান বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এর জেরে বুধবার সকালে তাদের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় বেশ কিছু বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ঘটনা উভয়পক্ষের অন্তত অর্ধশত আহত হয়েছেন। আহতদের জেলা সদর হাসপাতাল ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ।
বিজয়নগর থানার ওসি মো. আসাদুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনা পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। দাঙ্গা সংঘটিত করার দায়ে উভয়পক্ষের ৩৩ জনকে বিভিন্ন স্থান থেকে আটক করা হয়েছে।