যশোরের পুলিশ সুপার (এসপি) প্রলয় কুমার জোয়ারদার বলেছেন, পুলিশের অভিযান কোনো জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে নয়। আমরা অপরাধীকে অপরাধী হিসাবেই বিবেচনা করি। তার অন্য কোনো পরিচয় থাকলেও সেটা আমাদের কাছে বিবেচ্য নয়। শান্তি ও স্বস্তির যশোর নিশ্চিত করতে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আমরা অভিযান পরিচালনা করছি। শহরের পাশাপাশি উপজেলা পর্যায়েও অভিযান চালানো হচ্ছে। অভিযান আরও জোরদার করা হবে।
রোববার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় পুলিশের অবস্থান তুলে ধরে এসপি প্রলয় আরও বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। চিহ্নিত শীর্ষ সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, মাদকাসক্ত, মাদকের গডফাদার ও আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান চলছে। এ অভিযান কোনো জনপ্রতিনিধি বা কোনো শ্রেণি-পেশার মানুষের বিরুদ্ধে নয়।
তিনি বলেন, জনপ্রতিনিধিরা সম্মানিত ব্যক্তি। আমরা অপরাধীকে অপরাধী হিসাবেই দেখি। ফৌজদারি অপরাধে জড়িত, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত, চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত, মাদকের সঙ্গে জড়িত, চোরকারবারি ও জনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারীর বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান সুস্পষ্ট।
তিনি বলেন, আমরা মনে করি- পুলিশের চলমান অভিযানে চিহ্নিত সন্ত্রাসী জাহিদ হোসেন মিলন ওরফে টাক মিলন ও ম্যানসেলসহ অনেকে গ্রেফতার হয়েছে। অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করা হয়েছে।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে এসপি প্রলয় বলেন, আপনাদের কাছে কোনো চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সম্পর্কে তথ্য থাকলে আমাদের দেবেন। আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেব। আমাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব আমরা আইনানুগভাবে, সততা ও সাহসিকতার সঙ্গে পালন করব। অপরাধীকে অপরাধী হিসাবেই বিবেচনা করব। তার অন্য কোনো পরিচয় থাকুক, সেটা আমাদের কাছে বিবেচ্য নয়। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন প্রেস ক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, সাধারণ সম্পাদক এসএম তৌহিদুর রহমান, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মনোতোষ বসু, সাধারণ সম্পাদক এইচআর তুহিন, সাংবাদিক সাজেদ রহমান, শিকদার খালিদ, মনিরুল ইসলাম, ইন্দ্রজিৎ রায় প্রমুখ।
সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, মাদক ও কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে ফেব্রুয়ারিতে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করছে। এ অভিযানে পৌর কাউন্সিলর জাহিদ হোসেন মিলন ওরফে টাক মিলন, মেহবুব রহমান ম্যানসেলসহ ২৫৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মাদক ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এসব ঘটনায় ১০৩টি মামলা হয়েছে। পুলিশের এ অভিযান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জনপ্রতিনিধিদের একাংশ। পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের অপসারণ দাবি করেছেন তারা।