শিরোনাম
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার এসআই রেজাউলের মাদক ও মামলা বাণিজ্য রেজিস্ট্রার মামুন এর বিরুদ্ধে হত্যা, নারী কেলেঙ্কারীসহ নানা অভিযোগ তারেক রহমান কে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা থেকে  বেকুসুর খালাস প্রদান করায় উত্তরায় আনন্দ মিছিল দল বেঁধে যুবদল নেতার উপর হামলা,থানায় মামলা, ফেসবুকে অপপ্রচারের শিকার – শাকিল বকেয়া বেতনের দাবিতে মাহমুদ জিন্স ডিএমডিকে শ্রমিকরা পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে বিএনপি নেতা সেলিমের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় অরাজনৈতিক ডিজিটাল প্লাটফর্ম “সংযোগ নোফেল” এর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত শিমুল আহমেদ ও কামরুল জামানের নেতৃত্বে উত্তরায় আনন্দ মিছিল মাদকের ছোবলে যাত্রাবাড়ী ব্যবসায়ী শাহজাহানের বিরুদ্ধে একটি কুচক্রী মহল অপপ্রচার করছে
শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৮ পূর্বাহ্ন

অনুষ্ঠানের জন্য ওসির টাকা প্রয়োজন, তাই পুলিশের চাঁদাবাজি

রিপোটারের নাম / ৬৬ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে চাষের ট্রাক্টর থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে মো. আনোয়ার হোসেন নামে পুলিশের এক এএসআইয়ের বিরুদ্ধে। জমি চাষাবাদের জন্য আমদানিকৃত ট্রাক্টর সড়কে পরিবহণের অনুমতি দেওয়ার কারণে তিনি এ চাঁদা উত্তোলন করেন।

তবে সেই চাঁদার টাকা থানার ওসির অনুষ্ঠানের কাজে ব্যয় করা হবে বলে জানিয়েছেন অভিযুক্ত এএসআই আনোয়ার হোসেন। তিনি কমলনগর থানায় কর্মরত আছেন।

সংশ্লিষ্টরা জানান, উপজেলার ৯ ইউনিয়নে অন্তত ৩৫০-এর অধিক চাষের ট্রাক্টর ইঞ্জিনের পেছনে বডি সংযুক্ত করে সড়কপথে বিভিন্ন ধরনের পণ্য পরিবহণ করছে। এ ছাড়া উপজেলায় গড়ে ওঠা অন্তত ২০টি ইটভাটার মালিক তাদের ভাটার ইট পরিবহণ ও কৃষিজমি কেটে ভাটায় সংরক্ষণের কাজে ট্রাক্টর ব্যবহার করছেন। এসব ট্রাক্টর চাষাবাদ উপযোগী হলেও অভিযুক্ত এএসআই মৌসুম (সৃজন) চুক্তিতে আড়াই থেকে ৩ হাজার টাকা করে আদায়ের মাধ্যমে সড়কে চলাচলের অনুমতি দিয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাজিরহাট এলাকার ট্রাক্টর মালিক ইসমাইল হোসেন যুগান্তরকে জানান, কমলনগর থানার এএসআই আনোয়ার হোসেন থানার ওসির কথা বলে তার মাধ্যমে ট্রাক্টরপ্রতি ২ হাজার ৫০০ টাকা করে আদায় করেছেন। ওই ইউনিয়নে অন্তত ৫০টি ট্রাক্টর রয়েছে। খাতা দেখে জানাতে পারবেন এ পর্যন্ত কতটা ট্রাক্টর থেকে তিনি টাকা উত্তোলন করে দিয়েছেন। তবে নিজ মালিকানা ৩টি ট্রাক্টরের জন্য ৭ হাজার ৫০০ টাকা এএসআই আনোয়ার হোসেনকে দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেন তিনি।

একইভাবে উপজেলার করইতলা এলাকার আমির হোসেন জানান, চরলরেন্স ইউনিয়নের অন্তত ২১টি ট্রাক্টরের থেকে চাঁদা কালেকশন করে তিনি থানার অফিসারের নিকট বুঝিয়ে দিয়েছেন। জানামতে ওই ইউনিয়নের তেমন কেউ টাকা দেওয়ার বাকি নেই। এ ছাড়া উপজেলার তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের চরপাগলা ও হাজিরহাট ইউনিয়নের কিছুসংখ্যক ট্রাক্টর মালিক থেকে টাকা উত্তোলন করে তা অভিযুক্ত এএসআইকে দিয়েছেন বলে জানান তিনি।

অভিযুক্ত কমলনগর থানার এএসআই আনোয়ার হোসেন টাকা উত্তোলনের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানের জন্য ওসির দুই লাখ টাকার প্রয়োজন। এ কারণে ওসির নির্দেশে তিনি ১১৬টি ট্রাক্টর থেকে সামান্য পরিমাণে টাকা উত্তোলন করে তা ওসিকে দিয়েছেন। এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ না করতেও অনুরোধ করেন তিনি।

এ বিষয়ে কমলনগর থানার ওসি তহিদুল ইসলাম বলেন, তার নাম ভাঙিয়ে এএসআই আনোয়ারের টাকা উত্তোলনের বিষয়টি তিনি জানেন না। তা ছাড়া এটা করবে কেন? তিনি জরুরি একটি মিটিংয়ে আছেন। মিটিং শেষে থানায় এসে বিষয়টি দেখবেন বলে জানান তিনি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ