পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে গত ৮ ফ্রেব্রুয়ারি। দেশটিতে নির্বাচনের ২১ দিনের মধ্যে জাতীয় পরিষদের প্রথম অধিবেশন ডাকার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এমন সময়সীমা সামনে রেখেই উদ্বোধনী অধিবেশন আয়োজনের তোড়জোড় শুরু করেছিল বর্তমান তত্ত্বাববধায়ক সরকার।
জাতীয় পরিষদের অধিবেশন শুরুর আহ্বান জানিয়ে সোমবার সংসদবিষয়ক তত্ত্বাবধায়ক মন্ত্রণালয় প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভির কাছে একটি সারসংক্ষেপও পাঠিয়েছিল। তবে এই সারসংক্ষেপে স্বাক্ষর করেননি তিনি। বরং নিজের ক্ষমতাবলে ১৫ দিনের জন্য অধিবেশন স্থগিত করে দেন প্রেসিডেন্ট আলভি।
সারসংক্ষেপে প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষর না করাকে সংবিধানের উপর ‘সন্ত্রাসী হামলা’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক সিনেট চেয়ারম্যান এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) সদস্য রাজা রাব্বানী।
সোমবার সিনেট অধিবেশন চলাকালীন রাব্বানি বলেছেন, ‘পাকিস্তানের সংবিধান সন্ত্রাসের হুমকির মুখে। প্রেসিডেন্ট হাউস একটি সন্ত্রাসবাদের চেষ্টা চালাচ্ছে’। প্রেসিডেন্টের এই অধিবেশন আহ্বান করতে অস্বীকার করাকে ‘সংবিধানের স্পষ্ট লঙ্ঘন’ বলে অভিহিত করেছেন তিনি।
রাব্বানি আরও বলেছেন, ‘জাতীয় পরিষদের অধিবেশনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর সারসংক্ষেপ প্রত্যাখ্যান করা একটি অসাংবিধানিক কাজ। প্রেসিডেন্ট সংবিধানের ৯১ অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করছেন’।
পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ এবং পাঞ্জাবের প্রাদেশিক আইনসভায় সংরক্ষিত আসন পেতে সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলে (এসআইসি) যোগ দিয়েছিল সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। তবে জাতীয় পরিষদে এখনো পর্যন্ত এসআইসি’র সংরক্ষিত আসন বরাদ্দ না হওয়ার কারণে আলভি অধিবেশন শুরুর অনুমোদন দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
এ অবস্থায় প্রেসিডেন্টের অনুমোদন ছাড়াই আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি পার্লামেন্টের উদ্বোধনী অধিবেশন ডেকেছে পাকিস্তানের সংসদ সচিবালয়। তবে এতে আপত্তি জানিয়েছে পিটিআই। ইমরান খানের দলের নেতা ব্যারিস্টার গহর বলেছেন, সংরক্ষিত আসনে নির্বাচিতদের বাদ দিয়ে কোনো অধিবেশন ডাকা যাবে না। ডাকলে সেটা হবে বেআইনি।